সিবিএন ডেস্ক

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ অভিযোগপত্র জমা দেন। তদন্তে জানা গেছে, উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় সাম্যকে পরিকল্পিতভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

আরও পড়ুন

১৫ নভেম্বর থেকে বদলে যাচ্ছে পুলিশের পোশাক

উদ্যোক্তাদের স্বাদের রান্নার গল্পে মুগ্ধ পর্যটকরা

চার্জশিটে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন— মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ এবং মো. রবিন। এরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেছে ডিবি।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামি মেহেদী হাসান ছিলেন মাদকচক্রের নেতা। তার নেতৃত্বে উদ্যানের মন্দির গেট এলাকায় গাঁজা বিক্রি হতো। শাহরিয়ার আলম সাম্য ও তার বন্ধুরা সেখানে গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে আসামিদের বিরোধ তৈরি হয়। সেই বিরোধ থেকেই ১৩ মে রাতে মুক্তমঞ্চ এলাকায় ছুরিকাঘাতে সাম্যকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। তারা হলেন— তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার। তদন্তে দেখা গেছে, তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন না।

মামলার নথি অনুযায়ী, ছুরিকাঘাতের পর রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা আখতার মোর্শেদ বলেন, “আসামিরা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সাম্য তাদের অনৈতিক কার্যক্রমে বাধা দিয়েছিলেন, যার পরিণতিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।”

মামলাটি এখন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার অপেক্ষায়।